Kolkata Air Pollution: কলকাতায় ডেঙ্গু, ভাইরাস ও দূষণে কাবু জনজীবন! বাড়ছে অসুস্থতা

ঋতু পরিবর্তন, ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ এবং মশাবাহিত রোগ—এই তিনের সম্মিলিত আক্রমণে বিপর্যস্ত কলকাতা মহানগরীর জনস্বাস্থ্য।



জ্বর, সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে বহু নাগরিককে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।


কলকাতা: ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টায় ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক, তবে তার সাথে ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ (Air Pollution) এবং ডেঙ্গুর (Dengue) প্রকোপ শহরবাসীর জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। চিকিৎসকদের মতে, এই সম্মিলিত প্রভাবের কারণেই বহু মানুষ বর্তমানে রোগাক্রান্ত হয়ে ঘরে বসে আছেন।

জানা গিয়েছে, মরসুম পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসের কার্যকলাপ বাড়ে, যা শীত আসার আগে তাপমাত্রা ওঠানামা করার ফলে আরও তীব্র হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শহরের বায়ুর গুণগত মানের অবনতি (Deteriorating Air Quality)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণ শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়, যার ফলে ভাইরাস দ্রুত আক্রমণ করতে পারে। এটি যেন ‘ডাবল ধামাকা’-র মতো কাজ করছে।

কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে নাগরিকরা জানাচ্ছেন, তারা জ্বর, সর্দি, কাশির পাশাপাশি গলা ও নাকে জ্বালাভাব এবং চরম দুর্বলতায় ভুগছেন। চেতলা ও বেহালার মতো অঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠলেও, কিছুদিন পরই সাধারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:

  • সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ সংক্রমণই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজে থেকে সেরে যায়। তবে জ্বর কয়েকদিন ধরে চলতে থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করানো উচিত।

  • সাম্প্রতিক সরকারি তথ্য অনুসারে, কলকাতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বায়ুর গুণগত মান ‘খুব খারাপ’ (Very Poor) পর্যায়ে পৌঁছেছে।

  • স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই সময়ে সাধারণ মানুষকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং মশা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা (KMC) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলিকে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

নবীনতর পূর্বতন