স্কো-দিল্লি ডিফেন্স ডিল: পুতিনের ভারত সফরে সাগরে নজর, ২ বিলিয়ন ডলারে ভারতের হাতে আসছে আরও 'গুপ্তঘাতক' সাবমেরিন!
আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে ভারত এবং তার দীর্ঘদিনের কৌশলগত অংশীদার রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি চূড়ান্ত হলো। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বর্তমান ভারত সফরের ঠিক মাঝেই দুই দেশের মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি অত্যাধুনিক ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি আরও একধাপ এগিয়ে গেল। ঘটনাটি প্রথম প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ-এর একটি প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন (Read More):
1️⃣ 🔹 রাজ্য সংবাদ (West Bengal News)
👉 পশ্চিমবঙ্গের সর্বশেষ আপডেট, জেলার খবর, সমাজজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
2️⃣ 🔹 দৈনিক রাশিফল (Daily Horoscope)
👉 আজকের রাশিফল, গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান, শুভ-অশুভ সময়, দৈনন্দিন জ্যোতিষ আপডেট।
3️⃣ 🔹 বিনোদন সংবাদ (Entertainment News)
👉 টলিউড, বলিউড, ওয়েব সিরিজ ও তারকাদের সব খবর এক ক্লিকে।
4️⃣ 🔹 আবহাওয়া / পরিবেশ (Weather & Environment)
👉 আজকের তাপমাত্রা, বৃষ্টি সতর্কতা, মৌসুমী আপডেট ও পরিবেশ সংক্রান্ত খবর।
5️⃣ 🔹 লাইফস্টাইল (Lifestyle & Daily Life)
👉 স্বাস্থ্য, খাদ্য, ভ্রমণ, টেক আপডেট—দৈনন্দিন জীবনে দরকারি সব তথ্য।
চুক্তির মূল বিষয় ও তাৎপর্য
এই উচ্চ-মূল্যের প্রতিরক্ষা চুক্তিটি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের স্থিতিশীলতা এবং গভীরতা প্রমাণ করে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তির মাধ্যমে যে ডুবোজাহাজগুলি ভারতের হাতে আসছে, তা দেশের নৌ-বাহিনীর আক্রমণাত্মক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি: সূত্র অনুযায়ী, এই চুক্তিতে রাশিয়া ভারতকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন সরবরাহ করবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কতগুলি সাবমেরিন এবং সেগুলির নির্দিষ্ট মডেল কী, সেই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
সামরিক কৌশল: এই সামরিক ক্রয়টি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সামরিক প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। এই ডুবোজাহাজগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রের গভীরে টহলদারি এবং নজরদারির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেবে।
সম্পর্কের ভিত্তি: দীর্ঘকাল ধরেই ভারত সামরিক হার্ডওয়্যার এবং প্রযুক্তির জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। আমেরিকার মতো পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে ভারতের কৌশলগত নৈকট্য বাড়লেও, পুরনো মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারত তার নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখল।
Our most tracked flight now: one of the Russian government aircraft en route to India. Russian President Putin and Indian PM Modi are scheduled to meet over two days in Delhi. https://t.co/Q5GikRN1Vd pic.twitter.com/DcbA9wFYrF
— Flightradar24 (@flightradar24) December 4, 2025
পুতিনের সফরের প্রধান অর্জন
Our most tracked flight now: one of the Russian government aircraft en route to India. Russian President Putin and Indian PM Modi are scheduled to meet over two days in Delhi. https://t.co/Q5GikRN1Vd pic.twitter.com/DcbA9wFYrF
— Flightradar24 (@flightradar24) December 4, 2025প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রতিরক্ষা চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পাশাপাশি, ভারত ও রাশিয়া নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছে।
তেল ও গ্যাস সরবরাহ, পারমাণবিক শক্তি এবং মহাকাশ গবেষণার মতো ক্ষেত্রগুলিতেও একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই নেতার বৈঠক স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক মেরুকরণ সত্ত্বেও দিল্লি ও মস্কো তাদের পারস্পরিক নির্ভরতার সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা
এই চুক্তি পশ্চিমা দেশগুলি, বিশেষত আমেরিকার পক্ষ থেকে কিছু প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে। ভারত এর আগে রাশিয়ার থেকে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পরেও আমেরিকার পক্ষ থেকে 'কাউন্টারিং আমেরিকা'স অ্যাডভারসারিস থ্রু স্যাংশনস অ্যাক্ট' (CAATSA) প্রয়োগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে নয়াদিল্লি বারবার স্পষ্ট করেছে যে, তার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিরক্ষা ক্রয় সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। এই নতুন ডুবোজাহাজ চুক্তিও সেই অবস্থানকেই আরও একবার দৃঢ় করল।